একবালপুর মৃত্যু রহস্য। সাবা খাতুন ওরফে নয়না নামক ওই তরুণীকে খুন করা হয়েছিল। গতকাল একবালপুর থানার পুলিশ ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করল। বৃহস্পতিবার ওই দম্পতির বাড়ির পাশ থেকে বস্তাবন্দী মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল ওই তরুণীর। এই ঘটনার পর থেকে কই এলাকায় সমস্ত গ্রামবাসী আতঙ্কে রয়েছে, সবার প্রশ্ন একটাই পরকীয়া নাকি প্রেম সংক্রান্ত ঘটনা?
![]() |
Police arrested |
খুব জোরালো ভাবে চলছে তদন্ত, ক্রমশ সম্ভাবনা ওই দিকেই এগোচ্ছে। পুলিশ সূত্রের খবর এই খুনের কিনারা 72 ঘণ্টার মধ্যেই করা হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই খুনের পেছনে যাদের হাত রয়েছে ধৃতরা হলো, শেখ সাজিদ ওরফে রোহিত বয়স (৩০) ও তার স্ত্রী আনজুম বেগম বয়স (২৬)। পুলিশের ধারনা এই ঘটনার সঙ্গে রোহিত ও তার স্ত্রী জড়িত। সেক্সা জিতের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল মৃত নয়নার। খুনের ঘটনার পর পুলিশ দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ এরপরে সাজিদ দাবি করেছে, নয় দাদা কি তাকে দিনের পর দিন ভয় দেখিয়ে ছিল।তার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই নিঃশ্বাস বন্ধ করে খুন করা হয় হয়েছিল তাকে। তারপর, তারপর দেহ বস্তাবন্দি করে বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে এসেছিল সাজিদ তার স্ত্রী আনজুম বেগম।
তদন্তে আরো জানা গিয়েছে যে, সাজিদ খুন করার পর নিজেই পুলিশকে খবর দিয়ে ডেকে আনি এ ছিল। এমনকি পুলিশ আসতে তাদেরকে বিভিন্ন রকম সাহায্য করে, ও বস্তা খুলতে সাহায্য করে। পুলিশ তদন্ত করছে এখনো পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছে না যে খুনের পেছনে সাজিদ ও তাই নাকি অন্য কেউ জড়িত আছে আপাতত এই খুনের ঘটনার পিছনে কারা আছে তেমনটা জানা যায়নি, সাজিত আলম বেগমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এর পিছনে কারা কারা আছে তা তদন্ত চলছে। আবার, পুলিশ বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে কথা বললেও,নয়নার পরিবারের লোকদের দাবি সাজিদের সঙ্গে, নয়নার কোনো সম্পর্ক ছিল না।সাজিদের সঙ্গে তার কোন প্রেমের সম্পর্ক ছিল না তারা দুজন খুবই ভালো বন্ধু ছিল। তারা একসাথে কথাবার্তা দেখা নিজেদের কথাবাত্রা ভাগ করে নেওয়া একে অপরের বাড়িতে আসা যাওয়া করত।
সূত্রের খবর, 22 বছরের যুবতী সাবা খাতুন ওরফে নয়না দেহ উদ্ধার হয়েছে বুধবার রাতে একবালপুর থানায় আলী রোড এর উপর বস্তাবন্দি অবস্থায় রাস্তার পাশে। ময়নাতদন্তের
খবর অনুযায়ী, বলা হয়েছে যে শ্বাসরোধ করে মারা হয়েছে ওই 22 বছরের যুবতী নয়না কে।খবর সূত্রে, জানা গিয়েছে গত দুমাস ধরে নয়না রেশমা নামে এক বন্ধুর বাড়িতে থাকছিল। বুধবার দীপ বিকেলবেলায় বিরিয়ানির দাম দাম করে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল সে। আর সেই সন্ধ্যে থেকেই আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তার শত চেষ্টার পরেও ফটো খুঁজে পাচ্ছিল না কেউ বাড়ির লোক অস্থির হয়ে উঠেছিল তার সাথে দেখাও যোগাযোগ করার জন্য।বাড়ির লোক যোগাযোগ করার জন্য তার মোবাইল ফোনে অনেকবার ফোন করেছে কিন্তু ফোন সুইচড অফ ছিল।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর গভীর রাতে তার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। বস্তাভর্তি দেহ সবার প্রথমে গ্রামবাসী বৃন্দ উদ্ধার করেছিল। বেদনার গলাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন ছিল। আত্মীয়-স্বজন ও পরিবার সূত্রে জানা যায় যে নেশা করার অভ্যাস ছিল নয়নার।
22 বছরের ওই যুবতী নয়না দিনের বেশিরভাগ সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকতো।পরিবারের লোকজন তাকে অনেক চেষ্টা করেও এ নেশাগ্রস্ত থেকে বের করতে পারেনি এমনকি পরিবার তরফ থেকে জানা যায় বেশ কয়েক মাস ছয়েক দিকে রাখা হয়েছিল ওই 22 বছরের নয়না কে। ঠিক কি কারণে এই খুন, আর এর পিছনে কারাই বা আছে এখনো পর্যন্ত পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন